-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব) এইচ আর এম রোকন উদ্দিন, পি এস সি
বর্তমান সময়ে যখন বাংলাদেশ বহুস্তরীয় সংকটে আক্রান্ত—অর্থনৈতিক মন্দা, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, বেকার যুবসমাজ, কৃষি ও শিল্পখাতের চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক বিভাজন এবং সর্বোপরি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে—তখন একটি তথাকথিত ‘নারী বিষয়ক কমিশন’ গঠন নিঃসন্দেহে আমাদের দৃষ্টিকে অন্য খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি অদ্ভুত চেষ্টা। প্রশ্ন হলো—এটি কি এই মুহূর্তে দেশের জন্য একটি বাস্তবিক প্রয়োজন, নাকি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের কৌশল? তদুপরি এই কমিশনের রিপোর্টটি জনগনের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে এবং দেশব্যাপী বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বর্তমান কাঠামো যথেষ্ট নয় কি?
বাংলাদেশে নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি আইন, নীতি ও সংস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। যেমন— নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে, যার অধীনে জাতীয়ভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হচ্ছে।নারী নির্যাতন দমন আইন, ২০০০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন, ২০১০ এবং নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১ ইতোমধ্যেই নারীর নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।স্থানীয় সরকার ও জাতীয় পর্যায়ে সংরক্ষিত নারী আসন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সুযোগ প্রসারিত করেছে।ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও, ইসলাম নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে—উত্তরাধিকার, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পবিত্রতা ও মর্যাদার দিক থেকে।সুতরাং প্রশ্ন উঠেছে—এই কমিশন নতুন করে কী দেবে, যা আমাদের ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্র বর্তমানে দিচ্ছে না?
ধর্মীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষিত: বিভ্রান্তির ভিত্তি তৈরি হচ্ছে
বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে প্রায় ৯৫% মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে। এই ধর্ম কেবল একটি বিশ্বাস নয়, এটি আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ভিত্তিমূল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই সমাজ নারীকে মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রীর মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে। নারীর প্রতি আচরণ, উত্তরাধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদার প্রশ্নে ইসলাম অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও ভারসাম্যপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে, যা আজও আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও আইনগত কাঠামোতে প্রতিফলিত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে নারীদের বহু ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হচ্ছে—শিক্ষা, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কূটনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি এমনকি রাজনীতিতেও নারীর অংশগ্রহণ ক্রমবর্ধমান। এটি সম্ভব হয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কারণে। নারী উন্নয়নের নামে যদি এই প্রেক্ষাপটকে অস্বীকার করে কোনও নতুন কাঠামো চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি দেশের সামাজিক ভারসাম্যে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই নারী বিষয়ক কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কিছু বিদেশি সংস্থা-ঘেঁষা, এনজিও ঘরানার তথাকথিত প্রগতিশীল নারী এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যাঁরা অতীতে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় রীতিনীতি, ইসলামি পারিবারিক কাঠামো এবং সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে মন্তব্য ও কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন। এমন ব্যক্তিদের কমিশনে অন্তর্ভুক্তি শুধু ধর্মপ্রাণ জনগণের মনে ক্ষোভই নয়, বরং সচেতনভাবে উস্কানি দেওয়ার মতো আচরণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে—
🔸 নারী উন্নয়নের কথা বলে আদতে কি একটি ধর্মবিরোধী মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে?
🔸 ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে জাতীয় স্তরে কোনও সংস্কার কীভাবে টেকসই হতে পারে?
🔸 এই কমিশনের মাধ্যমে কি সমাজে দ্বন্দ্ব, বিভ্রান্তি ও মেরুকরণের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে না?
যে সমাজ ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাস করে, সেখানে নারীর অধিকার রক্ষা করতে হলে ধর্মীয় চিন্তাবিদ, নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নারী নেতৃত্ব, এবং সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিদের যুক্ত করা আবশ্যক। কথিত নারী অধিকার রক্ষার নামে, যদি সমাজের মূল চালিকাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, তাহলে সেটি রক্ষা নয়, বরং ধ্বংসের পথ তৈরি করবে।আমরা চাই নারীর উন্নয়ন, তবে তা হোক বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ও বাস্তবতার ভিত্তিতে।আমরা চাই নারীর ক্ষমতায়ন, তবে তা হোক সম্মান ও সম্মতির মাধ্যমে, সংঘাত বা আদর্শিক আগ্রাসনের মাধ্যমে নয়।বাংলাদেশের নারীর জন্য সবচেয়ে কার্যকর সহায়তা হবে, এমন একটি কাঠামো যেখানে ধর্ম, সমাজ ও পরিবার—তিনটি স্তম্ভই সমন্বিত থাকবে।সমাজে বিভেদ সৃষ্টির একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা?
বর্তমান প্রেক্ষাপটে “নারী বিষয়ক কমিশন” গঠনের ধরন ও প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে এটিকে কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বলে বিবেচনা করা যায় না। বরং এটি অনেক বেশি গভীর রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক উদ্দেশ্যসম্পন্ন একটি পদক্ষেপ বলে সন্দেহ জাগে। কমিশনের সদস্যদের পটভূমি, বাছাইয়ের প্রক্রিয়া এবং তাদের অতীত কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়—এটি ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্গে তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠীর মধ্যে একটি কৃত্রিম সংঘাত সৃষ্টির হঠাৎ তৎপরতা।
বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এটি ধর্মহীন রাষ্ট্র নয়। এখানে রাষ্ট্রের মূলধারা, সমাজের চালিকা শক্তি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের জীবনের মূল্যবোধ ইসলাম-আধারিত। নারীর মর্যাদা, অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে ইসলামে অত্যন্ত স্পষ্ট ও সম্মানজনক দিকনির্দেশনা রয়েছে। বাস্তবে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে শহুরে শিক্ষিত সমাজ পর্যন্ত, নারীরা সমাজে অবদান রাখছেন ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মেনে চলেই।
সেই বাস্তবতা অগ্রাহ্য করে, এমন কিছু ব্যক্তি যখন নারী অধিকার ও উন্নয়নের নামে এমন একটি কমিশনে আসীন হন—যাদের মতাদর্শ, বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বহুবার ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে:তারা কী নারীর উন্নয়ন চান, নাকি একটি মতাদর্শিক সামাজিক সংঘাত তৈরি করতে চান?এ ধরনের কমিশন গঠন যদি ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করে, জনগণের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে হেয় করে এবং কথিত প্রগতিশীলতা চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে চলে, তবে সেটি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নয়, বরং একটি পক্ষপাতদুষ্ট, বিভাজনমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক প্রকল্পে পরিণত হয়।
একটি বহুল আলোচিত আশঙ্কা হলো—এই কমিশনের মাধ্যমে ধর্মানুভূতিকে উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করা হতে পারে। কিছু মহল চাইছে ধর্মপ্রাণ জনগণ প্রতিক্রিয়া জানাক, যাতে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে ‘ইসলামী মৌলবাদের উত্থান’ নামে কলঙ্কিত করা যায়। এটি একটি মারাত্মক ষড়যন্ত্র—যা আমাদের জাতীয় পরিচয়, সামাজিক ভারসাম্য এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে বিপন্ন করতে পারে।
সতর্কতার সময় এখনই
আমরা যদি সময় থাকতেই এই বিভাজনমূলক নীতি ও কমিশনের ধারা বন্ধ না করি, তবে অচিরেই সমাজে ধর্মীয় বিভক্তি, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার অভাব প্রকট হয়ে উঠবে।ধর্ম ও সংস্কৃতিকে পাশ কাটিয়ে কোনও নারীর ক্ষমতায়ন হতে পারে না। নারীর প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন তা হবে জনগণের আস্থার ভিত্তিতে, জাতীয় ঐক্যের চেতনায় এবং ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে।
প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিনিধিত্ব ও স্বচ্ছতা
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে যাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের অনেকে মূলত বিদেশি সংস্থা-নির্ভর এনজিও কর্মকাণ্ডে জড়িত, যারা বহুবার জাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনাবিরোধী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের লোকজনের মাধ্যমে নারী উন্নয়নের নামে যদি বিদেশি চিন্তাধারা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলে, তবে তা বাংলাদেশের সামাজিক স্থিতি ও ঐক্যের জন্য ভয়াবহ হতে পারে। আমরা যা চাই—একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সম্মানজনক পথ। আমরা নারী উন্নয়নের বিরোধিতা করি না, বরং চাই— নারীর উন্নয়ন হোক ধর্ম, সমাজ ও সংবেদনশীলতা বজায় রেখে।সিদ্ধান্ত আসুক জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।নেতৃত্বে আসুক আধ্যাত্মিক, নৈতিক ও সমাজকল্যাণে প্রমাণিত নারীরা—শুধু পশ্চিমা প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত এনজিওকর্মীরা নয়।
সরকারের প্রতি আহ্বান
আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই—
১. এই কমিশন বাতিল করা হউক বা এর যৌক্তিকতা ও গঠন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করুন।
২. প্রতিনিধিত্বহীন ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে, প্রকৃত অভিজ্ঞ, সুশিক্ষিত ও সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
৩. কমিশনের কার্যপরিধি সীমাবদ্ধ ও স্বচ্ছ রাখুন—এটি যেন জাতীয় ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঘাত না করে।
৪. ধর্মীয় চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, গ্রামীণ নারী নেত্রী ও প্রবীণ সমাজকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
উপসংহার
আজকের বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো—জাতীয় ঐক্য, বাস্তবতা-ভিত্তিক সংস্কার, এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন নেতৃত্ব। যে জাতি সত্তর দশকের রক্তাক্ত সংগ্রামে এক টুকরো স্বাধীন ভূমি অর্জন করেছে, যে জাতি ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে—সে জাতিকে আজ বিভক্ত করার কোন অপপ্রয়াসই সফল হওয়া উচিত নয়। আমাদের সমাজ নারীকে শ্রদ্ধা করতে জানে। মা হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, পেশাদার কর্মী হিসেবে, এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবেও নারীরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে গর্বের সাথে অবদান রেখে চলেছেন। এই সফলতার পেছনে রয়েছে আমাদের সমাজের ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন, ও সংস্কৃতির ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান।
তবে এও সত্য, নারীর সামনে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ আছে—নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, ও সম্মানের প্রশ্নে কিছু উন্নতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই উন্নয়ন হবে তখনই টেকসই, যখন তা হবে বাংলাদেশের মাটি, মন, মনন ও বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে। আমরা চাই নারীর ক্ষমতায়ন—তবে সেটা হোক: বিবেকের আলোকে, যেখানে নারী ও পুরুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থান থাকবে। বিশ্বাসের ভিত্তিতে, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও পারিবারিক মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ণ রেখে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। বাস্তবতার আলোকে, যেখানে উন্নয়ন হবে দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী—বিদেশি মতাদর্শ বা দাতাদের এজেন্ডা চাপিয়ে দিয়ে নয়। আমরা উন্নয়নের বিরোধিতা করছি না। আমরা চাই সতর্ক, সুবিবেচিত ও গণমুখী উন্নয়ন। আমরা চাই এমন নেতৃত্ব, যারা দেশবাসীর আত্মপরিচয়, ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে মূল্য দেবে—শুধু তুষ্টি প্রদান বা বিদেশি অনুকরণে অন্ধ সংস্কার চাপিয়ে দেবে না।
বাংলাদেশ কারো পরীক্ষাগার নয়। এটি একটি সংবেদনশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এবং সংগ্রামী জাতির বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। তাই সংস্কার হোক, তবে তা হোক আমাদের জাতীয় চেতনার আয়নায় প্রতিফলিত। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নারী, পুরুষ, ধর্ম, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও মূল্যবোধ—এই ছয়টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিত্তিকে সম্মান জানিয়ে সামনে এগিয়ে চলাই হোক আমাদের জাতীয় সংকল্প।